বিয়ে নিয়ে কিছু অপ্রিয় সত্য
আপডেট: ২০১৫-১২-১৫ ২০:২৪:১৩
বিয়ে বা বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে একেকজনের ভাবনা একেক রকম। কেউ বিয়ে বিষয়টা ইতিবাচক হিসেবে দেখে কেউ বা নেতিবাচক। বিয়েটা কারো কাছে ভয়ের কারণ, আবার কারো কাছে উপভোগ্য। সবকিছুই নির্ভর করছে বিয়ের সম্পর্কটির ব্যাপারে কে কতটা শ্রদ্ধাশীল, দায়িত্বশীল এর ওপর। সম্প্রতি বিয়ে সম্পর্কে একটি সামাজিক মাধ্যম বিবাহিত মানুষের মতামত নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে।
জরিপে দেখা যায়, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর মধ্যে ৪২ শতাংশের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। আর এক তৃতীয়াংশ সুখী বিবাহিত সম্পর্ক আমৃত্যু টিকে থাকে।
জরিপ দেখে মনে হচ্ছে, কল্পনার ওপর ভিত্তি করে অধিকাংশ মানুষ বিয়ে করে। যখন বাস্তবতার সাথে কল্পনা খাপ না খায়, তখনই বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তরের ওয়েবসাইট ‘কোরা’তে একশ’ জনের বেশি মানুষ বিয়ে সম্পর্কে তাদের বিব্রতকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
একজন লিখেছেন, বিবাহিত সম্পর্ক থেকে বেশিরভাগ মানুষের প্রত্যাশা কী তারা জানে না। তবে কিছু মানুষ বিবাহিত সম্পর্কটিকে অনেক দূর নিয়ে যায়।
বিয়ে নিঃশর্ত ভালোবাসার নিশ্চয়তা দেয় না: জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন লিখেছেন, আমি ২৪ ঘণ্টাই স্বামীর প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি না। কিছু সময় থাকে আমরা ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারি না। এটাই বিয়ে, ভালোবাসা নয়। তবু আমরা বিবাহিত।
বিয়ে আপনার সব সমস্যা সমাধান করবে না: জরিপে আরেকজন অংশগ্রহণকারী লিখেছেন, কিছু দম্পতি অনেক সময়ই মনে করে বিয়ের পর অন্য ব্যক্তিরা তাদের সব সমস্যা ঠিক করে দেবে, তাদের সুখী করবে, পুরোপুরি সমর্থন যোগাবে, তাদের সব কাজ উপভোগ করবে এবং নিঃশর্ত ভালোবাসা দেবে এটি একদমই ভুল ধারণা। আর আপনি যদি এসব বিশ্বাস করে বিয়েতে জড়ান তাহলে মনে রাখবেন আপনার জন্য কষ্ট অপেক্ষা করছে।
স্বাভাবিক বিয়ে বলতে কিছু নেই: এই প্রশ্নের উত্তরে একজন লিখেছেন, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কোনটা ভালো, কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা গ্রহণযোগ্য বা নয় তা বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ মানদণ্ড বলতে কিছু নেই। বিয়ের পর কী করা উচিত, কী উচিত নয় তা কেউই বলে দিতে পারে না। এটাই পুরোই আপনার দায়িত্ব কীভাবে বিবাহিত সম্পর্কটা রক্ষা করবেন বা চালিয়ে নিবেন। কারো কাছ থেকেই আপনি এ বিষয়ে সঠিক উত্তর পাবেন না। তাই জানতে না চাওয়াটাই ভালো।
একটি বিবাহিত সম্পর্ককে সফল করতে একাধিক ব্যক্তির দরকার হয়: এই বিষয়ে একজন লিখেছেন, একটি বিবাহিত সম্পর্ক উন্নয়নে বন্ধু এবং পরিবারের বিশেষ সমর্থনের দরকার রয়েছে। একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সফল করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারো না কারো হস্তক্ষেপের দরকার হয়।
ত্যাগ বা ছাড় দেয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ: জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন লিখেছেন, ত্যাগ বা ছাড় দেয়া কোনো কাজে দেবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না বিবাহিত সম্পর্কটি আপনার কাছে গুরুত্ব না পাচ্ছে। আপনি কখন ঝগড়া করবেন, কখন চুপ থাকবেন এটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সানবিডি/ঢাকা/রাঅা