বিখ্যাতদের বিখ্যাত যত পাগলামি!

আপডেট: ২০১৫-১২-১৬ ১২:৫৯:৫২


feature_94868জগতে যারা সফল একটি জায়গায় তাদের মিল আছে। আর সেটা হলো পাগলামি! মাথা ভর্তি পাগলামি নিয়ে পৃথিবীকে সবসময়েই নতুন আর চমকে দেয়া নানা আবিষ্কার উপহার দিয়েছেন এই মানুষগুলো। তবে কেবল কর্মক্ষেত্রে নয়, সফলদের অদ্ভূত সব ব্যাপারের নজির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাদের জীবনের প্রতিটি কোণায়। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েনি তাদের খাদ্যাভ্যাসও। আর সবার চাইতে খানিকটা অন্যরকম খাদ্যাভ্যাসের সাথে অভ্যস্ত এই সফলেরা।

সফলদের এমনই কিছু পাগলামি ভরা অদ্ভূত খাদ্যবাতিকের কথা তুলে ধরা হলো-

. নিজের শিকার ছাড়া কিছুই খান না মার্ক জুকারবার্গ

শুনতে অনেকটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া এই সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের সৃষ্টিকর্তা মার্ক জুকারবার্গ কেবল সেসব প্রাণিই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন যেগুলোকে নিজের হাতে মেরেছেন তিনি। তবে ছাগল, শূকর আর মুরগিই থাকে এক্ষেত্রে তার খাদ্য তালিকায়। নিজের এই খাদ্যাভ্যাসটি নিয়ে বলতে গিয়ে জুকারবার্গ জানান, খাবার কোথা থেকে আসছে সেটা অনেকে জানতে না চাইলেও তিনি ভাবেন সেটা সবারই জানা উচিত। আর তাই পশুর খামার থেকে তিনি নিজেই নিজের জন্যে পশু বাছাই আর জবাই করার কাজটা সম্পন্ন করেন তিনি।

. উচ্চমানসম্পন্ন যৌনজীবন যাপনকারী প্রাণিদেরকে পছন্দ নিকোলাসের

বেশ অদ্ভুত প্রক্রিয়ায় নিজের খাবার বাছাই করেন অভিনেতা নিকোলাস কেজ। তার কেবল সেই প্রাণিদের খেতেই ভালো লাগে, যারা তার ভাষায়- মর্যাদাপূর্ণ যৌনপদ্ধতি অবলম্বন করে। এক্ষেত্রে তিনি মাছ, পাখি থেকে শুরু করে পোকামাকড় খেতেও দ্বিধা করেন না। তাঁর মতে, মাছেরা যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুখ ব্যবহার করে। তেমনি পাখিরাও। আর ঠিক এই কারণেই শূকরকে কখনই পাতে তোলেন না নিকোলাস।

. বাড়ির আগাছাতেই তৃপ্তি মিলতো হেনরি ফোর্ডের

আরও অনেকের মতোই হেনরি ফোর্ড ছিলেন নিরামিষাশী। তবে তাঁর নিরামিষের উৎস ছিল অদ্ভূত। হেনরি ফোর্ড কখনই খাবার কিনতে বাড়ির বাইরে বেরোতেন না। নিজের বাগানে জন্মানো আগাছার ওপরে নির্ভর করতেন তিনি। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশের ছোটখাটো গাছও খেয়ে ফেলতেন তিনি। কিন্তু বাজার? কখনই না!

. সপ্তাহে একটি খাবারই খেতেন স্টিভ জবস

অ্যাপলের পেছনের এই বিখ্যাত মানুষটি প্রতি সপ্তাহে যেকোনো একটি খাবার বেছে নিতেন এবং সারা সপ্তাহ ধরে সে খাবারটিই খাওয়ার চেষ্টা করতেন। সেটা কখনও আপেল, কখনও গাজর কিংবা অন্যকিছু হতো। তবে যেটাই বাছাই করুন না তিনি, একসঙ্গে এতোগুলো খেয়ে ফেলতেন যে তাতে মাঝে মাঝে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতো। একবার অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে স্টিভ জবসের শরীরের রঙ কমলাটে হয়ে গিয়েছিল। তবে সে যেটাই হোক না কেন, এই খাদ্যাভ্যাসটি শরীরকে দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত রাখে বলেই মানতেন স্টিভ জবস। তাই সপ্তাহে গোসলও করতেন মাত্র একবার।

. নিজের মূত্র পান করেন লিয়োটো মেসিন্ডা

সাবেক ইউএফসি লাইট হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন তারকা লিয়োটো মেসিন্ডা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটা পানীয় গলায় ঢেলে নেন। আর সেটি হচ্ছে নিজের মূত্র। বাবার দেয়া পরামর্শ অনুসারেই এ কাজ করেন তিনি বলে জানান লিয়োটো। শুধু তাই নয়, মানব মূত্রকে প্রাকৃতিক ঔষধি বলেও মনে করেন তিনি।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ