স্মার্ট প্রযুক্তি ছোটদের জন্য সাকুল্যে ভালোই

প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৯ ১৫:৩৪:২৬


kids-techআধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমাদের সবার ঘরবাড়ি আজ স্মার্ট ডিভাইসে ভরপুর। উন্নত মানের মোবাইল, পারসোনাল কম্পিউটার, টেলিভিশন, টেলিভিশনের সাথে যুক্ত গেমিং ডিভাইস ছাড়াও আছে অনকে কিছু। এই সময়ে ছেলেমেয়েদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ট্যাব, গেমিং ডিভাইস না দিয়েও উপায় নেই।

কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ফোনে তারা কী করছে, এ ব্যাপারে বাবা মাকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই শিশুদের ওপর প্রযুক্তির যে নেতিবাচক প্রভাব তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আর প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের নেতিবাচক ধারনারও বদল ঘটবে।

সম্প্রতি ভারতের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তেমনটাই দাবি করেছে। আর্কাইভস অব ডিজিজেস ইন চাইল্ডহুড নামের সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার শিশুদের জন্য মোটের ওপর খারাপ নয়। তবে এজন্য দরকার একটু নজরদারি।

আর একদম বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি ইতিবাচক ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে শিশুর মানসিক বিকাশ যখন থেকে শুরু হয় সেই সময় অর্থাৎ শিশুর বয়স দুই বছর পেরুলেই তারা স্মার্ট ডিভাইস থেকে জ্ঞান নিতে পারে।

আইরিশ এক দল গবেষকের ওই গবেষণায় মোট ৮২ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। ২ থেকে তিন বছর বয়সের ওই শিশুদের পিতামাতা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে তথ্য দেন।

গবেষক দল দেখতে পান অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশই বাসায় থাকা পিতামাতার স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে। সেখানে তারা অ্যাপগুলো নিয়মিত খুঁজে পায়।

আর এজন্যই ওইসব শিশুর ৬২ শতাংশ পিতামাতার সন্তানের জন্য নানান অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। আর ৮৭ শতাংশ পিতামাতা শিশুকে দৈনিক ১৫ মিনিটি করে ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকেন।

স্মার্ট ডিভাইসগুলো ব্যবহারের পর ওই সব শিশুর মধ্যে অন্য শিশুদের তুলনায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন খেয়াল করেন গবেষকরা।

তারা দেখতে পান স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা ২৯ মাসের শিশুদের দিয়ে ১ বছর নিয়মিত টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করিয়ে চারটি দক্ষতা সঞ্চালন করা সম্ভব। যেগুলো তার সামাজিকিরণে ভুমিকা রাখে।

এবিষয়ে স্যার বালাজী অ্যাকশন ইন এর মনোবিজ্ঞানী পল্লবী যোশী বলেন, স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারী শিুদের মানসিক বিকাশ তুলনামূলক বেশি হয়। তবে ব্যবহারের বিষয় ও সময় সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পল্লবী যোশী।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস