ইউনাইটেড এয়ার নিয়ে সিভিল এভিয়েশনে বিএসইসির চিঠি

:: আপডেট: ২০২১-০৩-০৮ ২৩:৪৬:২৮


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমেটেডেকে সচল করতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে নতুনভাবে গঠন করেছে বিএসইসি। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর তহবিল সংকটে পড়েছে কোম্পানিটির নতুর পর্ষদ। ফলে এর সমাধান করার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছে নতুন চেয়ারম্যান। তাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিভিল এভিয়েশনের সহযোগিতা চেয়ে চিটি দিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি সূত্র মতে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারের পর্ষদ। এর পর গত ৪ মার্চ বিকেলে আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ। দুই পক্ষের আলোচনায় কোম্পানির নতুন পরিচালনা পর্ষদ সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন। পরে সমস্যা সমাধানে বিএসইসির সহযোগিতা চান তারা।

নতুন কোম্পানির ফ্রি-ফ্লো ও সার্কিট নিয়ে ভাবছে কমিশন

আইপিওকারীরাই বাজার থেকে টাকা নিয়ে যায়:ছায়েদুর রহমান

গোল্ডেন হার্ভেস্টের লভ্যাংশ ঘোষণা

বিএসইসির সূত্র মতে, কোম্পানিটিকে সচল করার জন্য সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমানের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে গুছাতে চায় কমিশন। এই জন্য কোম্পানিটিতে সাতজন পরিচালক নিয়োগ করেছে বিএসইসি। তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে গতিশীল করতে চায় কমিশন। প্রতিষ্ঠানটিকে সচল করার জন্য সিভিল  আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

নতুন সাতজন পরিচালক হলেন-কাজী ওয়াহিদুল আলম, ড. এম সাদিকুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, মুহাম্মদ ইউনুস ও মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ। কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে কাজী ওয়াহিদুল আলম।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইউনাইটেড এয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করেছে। একইসঙ্গে গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানিটি অবশেষে মূলবাজার থেকে সিটকে পড়লো ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)।

কোম্পানি সূত্র মতে, ২০০৬ সালে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। কোম্পানিটি ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তালিকাভুক্তির পরের বছর ২০১১ সালে কোম্পানিটি ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ২১ কোটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে।

অস্বাভাবিক ইপিএস ও দর উঠা-নামার কারণ জানতে চায় বিএসইসি

মোটর বীমা পরিপালনের নির্দেশনা বিআইএর

বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোধিত মূলধন ১১শ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন হলো ৮২৮ কোটি টাকা। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১১ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ