শীতলক্ষ্যায় জাহাজ চালিয়ে ৩৬ জন হত্যা: পাঁচ আসামির রিমান্ড

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-১০ ১১:১৭:৫৭


নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে এসকেএল-৩ লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবে ৩৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নাবিক ও চালকসহ ৫ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত অপর ৯ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এরআগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশ ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনের ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালত।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- এমভি এসকেএল-৩ লাইটার কোস্টার কার্গো জাহাজটির মাস্টার অহিদুজ্জামান, চালক মজনু মোল্লা, সুকানি আনোয়ার মল্লিক, হৃদয় হাওলাদার ও ফারহান মোল্লা।

আসামি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আসামিদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের নৌ-থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত আসামিদের সদর নৌ-থানা হাজতে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় গেলে এসকেএল-৩ নামে লাইটার কোস্টার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার লঞ্চটি উদ্ধারসহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের অধিকাংশের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে নৌ-মন্ত্রণালয়, নৌ-থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।