বিকেবি-প্রণোদনার ঋণ

কৃষি ও সিএসএমইখাতে প্রণোদনার শতভাগ ঋণ বিতরণ করেছে কৃষি ব্যাংক

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৫ ১৯:২৭:৩৫


করোনভাইরাস অতিমারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের শতভাগ ঋণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। প্রথম পর্যায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ঋণ বিতরণ শেষে নতুন করে বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রারও শতভাগ ঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকটি।

প্রণোদনার আওতায় কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে করোনার ক্ষতি পোষাতে সরকার গতবছরের এপ্রিলে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে। অন্যদিকে শস্য ও ফসল বর্হিভূত কৃষির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা এবং প্রান্তিক কৃষক ও নিন্ম আয়ের পেশাজীবিদের জন্য আরও ৩ হাজার কোটি, সবমিলিয়ে কৃষিখাতের জন্য মোট ৮ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়।

প্রথম দফায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে কৃষি ব্যাংককে ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। সেই ঋণ সময়মত বিতরণের পর কৃষি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নতুন করে আবারও তহবিল দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকটিকে নতুন করে আরও ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ চলতি মাসে শেষ হয়েছে। গতবছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রণোদনা প্যাকেজর আওতায় কৃষি ব্যাংক মোট ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।

অন্যদিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা মিলে সিএসএমইখাতে কৃষি ব্যাংক মোট ৩৫৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে।

এ বিষয়ে বিকেবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন,‘যত দ্রুত ঋণ দেয়া যাবে, তত দ্রুত গ্রামীণ অর্থনীতি ও ক্ষতিগ্রস্তরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এই উপলব্ধিকে সামনে রেখে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার শুরু থেকেই কৃষি ব্যাংক অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঋণ বিতরণ করেছে। প্রথমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা শেষ করে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা প্রতিটি শাখায় ভাগ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি নিয়মিত তদারকির জন্য একটি সফটওয়্যারও উদ্ভাবন করি। কোনো শাখা যেন পিছিয়ে না থাকে, এর জন্য আমাদের কৌশল ছিল নিয়মিত তদারকি করা। যার ভাল ফলও পেয়েছি আমরা।

আলী হোসেন প্রধানিয়া জানান, আমরা যাদেরকে ঋণ দিয়েছি,তাদের ১৫ শতাংশ নিয়মিত গ্রাহক বাকী ৮৫ শতাংশ প্রথমবারের মত ব্যাংক ঋণ পেয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকরা গ্রামীণ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে দারুনভাবে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলনের পেছনে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় যে ঋষ বিতরণ হয়েছে তার একটা ভূমিকা ছিল।

উল্লেখ্য, করোনাভাইারাসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কৃষি ও সিএসএমইখাতে গঠিত তহবিলের ৬০ শতাংশ ঋণ এখন পর্যন্ত বিতরণ হয়নি। এসব খাতে ঋণ বিতরণের জন্য যষ্ঠবারের মত সময়সীমা বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কৃষি ব্যাংক। বিশেষায়িত ব্যাংকটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণশেষে নতুন করে আবার তহবিল গ্রহণ করে এবং সেই ঋণেরও বিতরণ শেষ করেছে।