এসপিসি ওয়ার্ল্ডের সিইও-নিরাপদ শপের পরিচালকসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-০৩ ২০:৩০:২০


ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনাকারী এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের সিইও ও এমডি আল-আমিন এবং নিরাপদ শপ নামে আরেকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের জমানো টাকা দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, বিভিন্ন উপায়ে এসপিসির মাধ্যমে আয় করা টাকাগুলো তাদের ওয়ালেটে জমা রয়েছে। কিন্তু তারা কোনোভাবেই এ টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন না। গত তিন-চার মাস ধরে তাদের সব গ্রাহকের একই অবস্থা।

নিজেদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এসপিসি মূলত একটি বহু স্তরভিত্তিক বিপণন ব্যবসা (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং- এমএলএম) প্রতিষ্ঠান। যেমনটি ছিল ডেসটিনি।

ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালে আল আমিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয়জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওই সময় জানানো হয়, এসপিসি ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে গ্রেফতারের দুই মাসের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসেন আল আমিন। আবারও নতুন উদ্যমে শুরু করেন ব্যবসা।

২০২০ সালে নিজেদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দাবি করে যাত্রা শুরু করে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আছেন আল আমিন প্রধান। তিনি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক ছিলেন।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এসপিসি অনুমোদনহীন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা পরিচালনা করে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছে সিআইডি। তবে তদন্ত এখনও চলমান। আত্মসাতের টাকার অঙ্ক আরও বড় হতে পারে। কারণ, তাদের ব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশি।

অর্থ আত্মসাতের মামলায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির এমডি আল আমিন গ্রাহকের ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নিজের নামে তিনটি প্রাইভেট কার কিনেছেন। এছাড়া সিটি ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে গ্রাহকের ৩৫ লাখ টাকা তার স্ত্রী সারমীন আক্তারের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন।

সিআইডি জানায়, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে। এসব লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সেখানে মোট ২২ কোটি পাঁচ লাখ টাকা জমা হয়েছে। তোলা হয়েছে মোট চার কোটি সাত লাখ টাকা।

এএ