ডলারের মূল্যবৃদ্ধি-অনলাইনে কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-১০-১৯ ১৮:০৬:৫৯


মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ এবং অনলাইনে ডলার কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ এবং অনলাইনে ডলার কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ডলারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ২০০৬ সালে ১ ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭০ টাকা। অপরদিকে ২০২১ সালের অক্টোবরে ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা এবং ক্ষেত্র বিশেষে ৮৮ টাকা দরেও ডলার বিক্রি হচ্ছে। অথচ অর্থনীতির ভাষ্য অনুযায়ী, সব মুদ্রার মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে। এমনকি মার্কিন ডলারেরও মুদ্রাস্ফীতি আছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো দেশে এই মার্কিন ডলারের দাম অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে বাড়ানো হচ্ছে এবং বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশ থেকে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে অধিক পরিমাণে অর্থ খরচ হচ্ছে এবং আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ব্যাপক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে এবং দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছে না।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে- পেওনিয়ার, স্ক্রিন, নেটেলার, মেদন, ওয়েবমানি ইত্যাদি মাধ্যমে বেশি মূল্যে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। এমনকি এ ধরনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ১০ থেকে ১০০ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংককে দ্রুত এসব অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ সাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এসব ওয়েবসাইট- পেওনিয়ার, স্ক্রিল, নেটেলার, পেপল, ওয়েবমানি ইত্যাদির ডলারের মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্যে করতে হবে। পাশাপাশি এসব অনলাইনের ডলারকে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নয়তো এ বিষয়ে হাইকোর্টে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এএ