‘আমরা স্মার্টফোন রফতানিকারক দেশে পরিণত হবো’
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০১-১৯ ১৯:১৫:২১
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনায় আমরা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদক হয়েছি, এবার দেশের চাহিদা পূরণ করে ফোন হ্যান্ডসেট রফতানিকারক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ’।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দেশিয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট এ পর্যন্ত দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৩ ভাগ পূরণ করছে। পাশাপাশি প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তি বান্ধব নীতির ফলে ২০১৮ সালের পর থেকে গত চার বছরে দেশে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডসহ ১৪টি কারখানায় গত এক বছরে ২জি, থ্রি-জি, ফোর-জি এবং ফাইভ-জি মিলিয়ে মোট দুই কোটি একষট্টি লক্ষ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে।’
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের ১৪টি মোবাইল কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল যন্ত্র আমদানিকারী দেশ থেকে বাংলাদেশকে উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনাসহ যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নের ফলে মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারী দেশ থেকে উৎপাদক ও রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তর লাভ করেছে বাংলাদেশ।’
গুণগত মানের সাথে কোনো আপস না করে বিশ্বের সেরা মানের মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে বিটিআরসির ভূমিকার প্রশংসা করেন মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মোবাইল তৈরির জন্য গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না। আমাদের সন্তানদের হাতেই বিশ্বের সেরা সেট আজ উৎপাদিত হচ্ছে। আমরা আমেরিকাতেও ফাইভ-জি সেট রপ্তানি করছি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।’
মন্ত্রী আগামী দিন গুলোতেও মোবাইল হ্যান্ডসেটের গুণগত মান অটুট রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কারখানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি পণ্যের গুণগতমান অটুট রাখতে পারি সেক্ষেত্রে বিদেশি হ্যান্ডসেট কেউ কিনতে যাবে না। দাম ও গুণগতমান ঠিক থাকলে চোরাই পথে মোবাইল আমদানির অবৈধ ব্যবসাও বন্ধ হবে।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোবাইল শিল্প বিকাশে কারখানা মালিকদের প্রতিনিধিসহ বিটিআরসি’র নেতৃত্বে একটি কারিগরি কমিটি গঠণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনসহ এই শিল্পের বিকাশে আন্তরিকতার সাথে কাজে করতে বদ্ধপরিকর।’
মোবাইল কারখানার প্রতিনিধিগণ এনওসি ও গ্রে মার্কেটসহ কতিপয় বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী তাদের বিষয়টি অতি দ্রুততার সাথে বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এএ