বসন্তের ছোঁয়া বইমেলায়
প্রকাশ: ২০১৬-০২-১৪ ১৩:৫৪:৫৭
পরনে বাসন্তী রঙের শাড়ি, মাথায় ফুলের টায়রা, কারও বা খোঁপায় হলুদ গাঁদার মালা। এক হাতে বই, অন্য হাত প্রিয় মানুষের হাতে। শনিবার ফাল্গুনের প্রথম সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৩তম দিনে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।
এদিন কেউ এসেছেন প্রিয়জনের হাত ধরে। আবার দল বেঁধেও এসেছেন অনেকে। বসন্তের প্রথম দিনে মেলায় লেগেছে ফাগুনের রঙ। মেলাজুড়ে যে দিকেই চোখ গেছে শুধুই যেনো হলুদ আর বাসন্তী রঙের সমারোহ। মেলার ১৩তম দিনটি একদিকে সরকারি ছুটি, সেই সঙ্গে বসন্তের প্রথম দিন। তাই নানা বয়সের পাঠকের পদচারণায় জমে উঠেছে মেলা।
বইপ্রেমীদের মহাসমারোহে ভরে উঠেছে প্রাণের এ মেলাপ্রাঙ্গণ। বসন্ত আর ফাল্গুনের প্রথম দিন হওয়ায় উপচে পড়া ভিড়ই আশা করছিলেন প্রকাশকরা। তাদের আশাকে নিরাশার বালুচরে না ডুবিয়ে সকাল থেকে স্রোতের মতো মানুষ প্রবেশ করেছেন বইমেলায়। টিএসসি থেকে আণবিক শক্তি কমিশন ও দোয়েল চত্বর থেকে পুষ্টি ভবনের গেট, বইমেলায় প্রবেশের দু’টি পথেই ছিলো দীর্ঘ লাইন।
হলুদ রঙে রাঙা বইপ্রেমীদের সারিবদ্ধভাবে দেখে মনে হচ্ছিলো, এ যেনো হলুদ কোনো ফুলের বাগান। বসন্তের ছোঁয়া যে শুধু পাঠকদের মাঝেই লেগেছে, তা কিন্তু নয়। ফাল্গুনের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলেছেন স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীরাও। শুধু উপচেপড়া ভিড়ই নয়, হচ্ছে প্রকাশকদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো বিক্রিও।
মেলার প্রায় প্রতিটি স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড়। বইপ্রেমীরা নব বসন্তের সঙ্গে নিয়েছেন নতুন বইয়ের ভাঁজ খোলা মন মাতানো গন্ধ। যাচাই-বাছাই করে কিনছেন পছন্দের লেখকের নতুন বই। সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা হয় ঐতিহ্য, অন্য প্রকাশ ও কাকলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে। তারা জানান, সকাল থেকে বিক্রি ভালো। তবে এদিন বিক্রিবেশি হচ্ছে প্রেমের গল্প-কবিতা ও উপন্যাসের বই।
শনিবার মেলা বসেছে সকাল ১১টায়। দুয়ার খোলার আগেই লাইনে দাঁড়ান আগতরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইমেলায় জনস্রোত বাড়তে থাকে। যে স্রোত প্রকাশকদের মুখে হাসিই বয়ে এনেছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো