ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা আরও শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৪ ১৭:৩৭:৫৬
করোনা মহামারিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখনও মন্দা বিদ্যমান থাকায় ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার স্কোর আরও নমনীয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য গ্রাহক হিসেবে গণ্য হবেন। এই ধরনের গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেয়া যাবে না। এতদিন যা ছিল ৪৫।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন গ্রাহকদের বছর শেষে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশের বেশি পয়েন্ট পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি থেকে ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫৫ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। তবে ৪৫ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না। যা নতুন সার্কুলারে কমানো হয়েছে।
জানা যায়, করোনার কারণে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই মান অনেকের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নীতিমালাটি শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই নীতিমালা শিথিল করেছে। এখন থেকে অতি উত্তম ও ভালো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে একই মান রাখা হয়েছে। তবে প্রান্তিক ও অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে গড়ে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
নীতিমালা অনুযায়ী, অতি উত্তম গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া ও আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে কোনো বাধা থাকবে না। ভালো গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রান্তিক গ্রাহকদের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে সতর্ক হতে হবে। তাদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করা যাবে।
তবে কোনো গ্রাহক ৪০ শতাংশের কম পয়েন্ট পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবেন। তিনি নতুন ঋণ পাবেন না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে পারবেন।
সার্কুলারের বিধিবিধান এখন থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ওইদিন থেকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা আগের সার্কুলারের বিধিবিধান কার্যকর হবে।
এএ