চট্টগ্রাম বন্দরে ২৫কোটি টাকার সিগারেট জব্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০২-২৮ ১৯:৩৭:৪৬
চট্টগ্রাম বন্দরে চীন থেকে কটন ইয়ার্নের নামে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ২৫কোটি টাকার সিগারেট জব্ধ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার খুলে এসব সিগারেট পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশির আহমদ জানান, পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের তিয়ানে আউটডোর বিডি কো. লিমিটডে নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চীন থেকে আসা চালানে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার শলাকাই ওরিস সিলভার ব্রান্ডের। ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার এসব সিগারেট পাচারের মাধ্যমে প্রায় ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল। শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধায় চালানটি বন্দরে আসে।
চীন থেকে ‘কটন ইয়ার্ন’ ঘোষণায় ৪০ ফুট লম্বা একটি কনটেইনারে চালানটি বন্দরে আসে। চালানটি আমদানির লক্ষ্যে বেপজার থেকে আইপি ইস্যু করা হয়। এটি খালাসের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ক্রোনি শিপিং করপোরেশন (প্রা.) লিমিটেড জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। এরপর চালানটি শুল্কায়নের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইপিজেড কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে দলিলাদি দাখিল করা হলে আইপির সঠিকতার বিষয়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি বেপজার সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচাই করা হয়।
যাচাইকালে গড়মিল দেখা দিলে বিষয়টি কাস্টম হাউসের এআইআর টিমকে জানানো হয়। এআইআর এর চালানে অসত্য ঘোষণার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পায়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চালানটি খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
সব সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কনটেইনারটি খুলে ৮৭৭ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায়। দোষীদের বিরুদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এএ