আবারো প্রাণ ফিরেছে বইমেলায়
প্রকাশ: ২০১৬-০২-২৬ ১৯:০৫:১৪
প্রবল শিলাবৃষ্টি আর ঝড়োহাওয়ায় ছন্দপতন ঘটার পর আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে বাঙালির প্রাণের মেলা। আজ শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই অমর একুশে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বইও বিক্রি হচ্ছে আশানুরূপ। এতে খুশি প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
বৃষ্টির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ মেলার সময় এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়েছে। ফলে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার পরিবর্তে সকাল ১০টায় মেলার দ্বার উন্মোচন করা হয়। আগামীকাল শনিবারও খুলবে একই সময়ে। এ ছাড়া মেলার অন্য দুই দিন অর্থাৎ রবি ও সোমবার বিকাল তিনটার পরিবর্তে বেলা দুইটায় শুরু হয়ে শেষ হবে আগের মতো রাত ৮টায়।
তবে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তকে গতকাল এক জরুরি বৈঠক করে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। সমিতির নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক বলেন, আমাদের দাবি ছিল মেলা নির্ধারিত সময়ে খুলে রাত ৯টায় শেষ হওয়ার। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই একাডেমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজধানীর শ্যামলী থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়ে হাবসা ও সাইমাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন এনজিও কর্মকর্তা আবিদুর রহমান। তিনি জানান, অফিসের কাজে বেশ কিছুদিন বিদেশে থাকতে হয়েছে। কিন্তু বইমেলার টানে মনটা ছটফট করছিল। গত পরশু দেশে ফিরেছি। আর দেরি করতে চাইনি। তাই আজ স্ত্রী-মেয়ে নিয়ে মেলায় চলে এলাম। ইতোমধ্যে অনেকগুলো বইও কেনা হয়ে গেছে।
আজ শিশুপ্রহরে এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস দেখা গেছে। ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে দল বেধে মেলায় এসেছে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকরা।
সময় প্রকশনীর ইব্রাহিম হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে- তা পুষিয়ে নেয়া হয়তো কিছুটা কঠিন হবে। তবে মেলার শেষ দিকে এসে দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতা বেশি। ফলে প্রকাশকদের মধ্যে মোটামুটি স্বস্তি ফিরেছে।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, শেষ দিকের মেলা। শেষ শিশুপ্রহরও বটে। এ সময়ে মেলায় কেনাকাটা বাড়ে। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বৃষ্টিতে প্রকাশকদের যে ক্ষতি হয়েছে আগামী দুই তিন দিনে তা তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
তিনি জানান, মেলা ২৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার শেষ হবে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি থাকলেও মেলার সময় বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ