২৫ হাজারের জন্য কোমরে দড়ি, লাখ-কোটি হলে কিছু হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-২৮ ২০:৫৭:৩৮


আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, ‘২৫ হাজার টাকার জন্য কৃষকের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অথচ যাদের কাছে ২৫ লাখ-কোটি টাকা পাওনা, তাদের কিছু হয় না কেন? তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন না কেন?’

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায়ে চেক প্রতারণার মামলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টে দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন চেম্বার বিচারপতি। তবে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। আগামী ১ ডিসেম্বর নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানি হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে চেম্বার আদালতে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লা আল বাকী। শুনানিতে ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন–কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না। নিম্ন আদালতে এই সংক্রান্ত বিচারাধীন সব মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদালত বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় না দেখে কিছু বলা যাবে না। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া চেকে কে স্বাক্ষর করে, কে টাকার অঙ্ক বসায়, তার কোনো হদিস নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে এমন চেক নেওয়া যাবে না, তার পরও ব্যাংকগুলো কেন মানছে না এমন প্রশ্ন তোলেন আদালত।

এর আগে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যান) মামলা করতে পারবে না বলে গত ২৩ নভেম্বর রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তারা অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায়ের জন্য এনআই অ্যাক্টের মামলা আমলে না নিতে অধস্তন আদালতের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আদালতে চলমান থাকা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এএ