প্রধান বিচারপতি পদক পেলেন ৫ বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১২-১৮ ১৭:০২:৪৯


পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা তথা নিম্ন আদালতের পাঁচজন বিচারককে ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দলগতভাবে এ পদক পেয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্ণপদক নেন পদকপ্রাপ্তরা।

ব্যক্তিগতভাবে পদক পাওয়া পাঁচজন বিচারক হলেন— জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা, অতিরিক্ত জেলা জজ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাউদ হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে নওগাঁ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচারক মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারী জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী জজ মোসা. রেশমা খাতুন এবং সহকারী জজ ক্যাটাগরিতে রংপুরের সহকারী জজ মো. হাসিনুর রহমান মিলন।

এছাড়া দলগতভাবে পদক পেয়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ। এ জেলার পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন পদক নেন।

ব্যক্তিগতভাবে পদক পাওয়া প্রত্যেককে ২২ ক্যারেট ১৬ গ্রাম স্বর্ণের পদক এবং দুই লাখ টাকার চেক এবং ময়মনসিংহ জেলাকে ২২ ক্যারেট ১৬ গ্রাম স্বর্ণের পদক এবং ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল এক সংধবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছিলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হয়ে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, আমাদের দেশে অধিকাংশ জুডিশিয়াল কর্মকর্তাই সৎ, মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন অসৎ কর্মকর্তার জন্য জুডিশিয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তাদের শনাক্ত করবো। আর তাদের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেছিলেন, এরই মধ্যে আমি একটি কমিটি করে দিয়েছি। যারা ভালো করবে তাদের প্রত্যেক বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেওয়া হবে।

পরে ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছিল, ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নসহ বাছাই কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমন্বয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিনকে সভাপতি করে জাজেস কমিটি গঠিত করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান।

আই এইচ