সিম-রিম ও স্ক্র্যাচকার্ডের ট্যারিফ কমানোর প্রস্তাব

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২৬ ১৪:৩০:১০


sim20160426081550দেশের জনসংখ্যার বিশাল মোবাইল ব্যবহারের আওতায় আনতে আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সিম-রিম ও স্ক্র্যাচকার্ডের ট্যারিফ মূল্য কমানোর প্রস্তাব করছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশে (এমটব)।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমটবের সাধারণ সম্পাদক টি আই এম নুরুল কবির এ প্রস্তাব করেন। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নুরুল কবির বলেন, বর্তমানে দেশের সকল মোবাইল অপারেটর প্রতিটি সিম অথবা রিম কার্ড বিক্রির জন্য ৩৬ দশমিক ৬৫ টাকা ভ্যাট ও ৬৩ দশমিক ৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ করে। এটা সর্ম্পন্ন প্রত্যাহার করা উচিত।

প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশ মোবাইল ব্যবহার করেন না। বাংলাদেশে প্রকৃত মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জন সংখ্যার মাত্র ৪২ শতাংশ। নতুন সিম কার্ডের উপর আরোপিত সর্ম্পরক শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে মোবাইল ব্যবহারের হার বাড়বে ও দেশের ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এমটব সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইন্টারনেট-মডেম ব্যবহারে ভ্যাট উঠিয়ে নিলে সাধারণ জনগণের কাছে তা সহজলভ্য হবে। এর ফলে তথ্য-প্রযু্ক্তির প্রসার বেড়ে যাবে। বর্তমানে ইন্টারনেট-মডেম ব্যবহারের জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করতে হয় বলেও জানান তিনি।

এছাড়া এমটবের বাজেট প্রস্তাবনায় মোবাইল কোম্পানির করহার কমিয়ে অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার দাবি জানানো হয়েছে।  পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত মোবাইল কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানি যদি ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়, সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য করের উপর ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত প্রদান, টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য ব্যবসায়িক ক্ষতির জের ১০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা, ব্যবসা প্রসারে সিম-রিম এর সাবসিডি কর বিয়োজনযোগ্য ব্যবসায়িক খরচ হিসেবে অনুমোদন করার দাবি জানানো হয়।

এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, মোবাইল টাওয়ারগুলোর দিকে একটু নজর দেবেন। এগুলো জনস্বাস্থ্যে যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়া মোবাইল অপারেটরদের কাছে যে বকেয়া রাজস্ব রয়েছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা পরিশোধ করুন। এসব অর্থ জনকল্যাণে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।

সানবিডি/ঢাকা/আহো