স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৬০ বছর কারাদণ্ড
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-২৫ ১৪:৫৬:০০
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্কুলছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষণ ও ভারতে পাচার চেষ্টার অপরাধে হাফিজুল ইসলাম নামের (৩৫) এক ব্যক্তিকে ৬০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আাদলত আসামিকে পৃথক দুই ধারায় ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
আজ রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালখলসি গ্রামের ইমন আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে আদালত সুত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম প্রায় তার প্রতিবেশি মামলার ভিকটিম ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় উত্যক্ত করতো। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ভিকটিম (১৩) প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হয়। হাফিজুল তার মুখ চেপে ধরে সিরাজ ও সিদ্দিকের সহযোগিতায় ভিকটিমকে অপহরণ করেন। এরপর তারা ওই ভিকটিমকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করেন। কিন্তু সীমান্ত রক্ষীদের কড়াকড়ি অবস্থানের কারণে ভিকটিমকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসামির পরিচিত জনৈক মিলনের বাড়িতে নেন। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভিকমকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোরে নেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার এবং হাফিজুলকে আটক করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় হাফিজুল, সিরাজ ও সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অপহরণসহ শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ হাফিজুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ রোববার দুপুরে আসামি হাফিজুলের এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালতের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর দু’টি ধারায় ৯ (১) ধারায় আসামি হাফিলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই মামলার ৭ ধারায় আসামি হাফিজুলকে আবারও যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে এবং হাফিজুলের সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে। সেই হিসেবে তাকে ৬০ বছর কারাভোগ করতে হবে। আসামি হাফিজুলের উপস্থিতিইে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এনজে