সেরা শিক্ষকের শিরোপা পেল অন্ধ দম্পতি
প্রকাশ: ২০১৬-০৯-০৭ ১৭:৪৫:২৬
কেনো এটা নেই আমার কাছে! সবসময়ই যেন অন্যের জিনিস দেখে সেটা পাওয়ার ইচ্ছে জাগে মানুষের মনে। অথচ কখনই এটা ভাবিনা যে, আমাদের কাছে তো অনেক কিছুই আছে যা হয়ত অনেকেরই নেই৷অথচ ভারতের ইন্দোরের বাসিন্দা এক দম্পত্তি নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আলোকিত করলেন অনেকের জীবন।
দৃষ্টিশক্তি নেই দু’জনেরই। কিন্তু তাঁরা সফল শিক্ষক৷ তাঁরা হলেন নাম মীনা ও সঞ্জয়৷ ইন্দোরের সরকারি স্কুলগুলির মধ্যে সেরা শিক্ষকযুগল হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা৷তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও সমস্যাকে জয় করে তাঁরা ইন্দোরের ৪০ জন শিক্ষকের মধ্যে সেরার সম্মান পেলেন৷ মঙ্গলবার ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাঁদের হাতে এই সম্মান তুলে দেয়।
মীনা তাঁর শিক্ষকতার কেরিয়ার শুরু করে ২০০৭ সালে সানভির তেশিল দুধদিয়াতে৷ ২০১২ সালে তাঁরা ইন্দোরে ট্রান্সফার নেন৷ মীনা জানান, ‘দৃষ্টিশক্তি না থাকার কারণে প্রথম প্রথম খুবই অসুবিধায় পড়তে হতো, অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার সুযোগও নিত৷ কিন্তু এখন আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করছি৷ তবে এখন আর পড়ুয়ারা ক্লাস নষ্ট করে না’ তিনি আরও বলেন, তিনি পড়ুয়াদের মধ্যে একজনকে বলেন বইটি পড়তে এরপর তিনি ওদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন৷
মীনা সোশ্যাল সায়েন্সয়ের শিক্ষক, তিনি নভীন মহালাভকন্যা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ান৷ সঞ্জয়ও ওই একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ দুজনেই খুবই টেক-স্যাভি এবং মাল্টিমিডিয়া ফোনও ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন৷ মীনা জানিয়েছেন ব্রেইলে বই পাওয়া যায় কিন্তু একটা সাধারণ বইয়ের সমান ব্রেইলের চারটি বই৷ মীনা জানিয়েছে, তাঁর তিন বছর বয়সে ছানি ধরা পড়েছিল,তারপর সার্জারির পর তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন৷ এই দম্পতি অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন৷
নভীন মহালাভকন্যা স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রতিভা লাধ জানিয়েছেন, তাঁরা কাজের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সফল৷ তাদের কাজের প্রশংসা যত করা যায় তত কম৷ সঞ্জয় এবং মীনার দুই মেয়ে আছে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলেই প্রিন্সিপাল প্রতিভাদেবী জানিয়েছেন৷সূত্র: কলকাতা২৪/৭
সানবিডি/ঢাকা/এসএস