এসআইবিএলের পর্ষদ বাতিল, নতুন পরিচালক নিয়োগ

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-০৮-২৫ ১৭:১৮:৩৭


এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন পর্ষদ গঠনের নিমিত্ত্বে একজন পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা আদেশে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০২৩ সংশোধিত) এর ৪৭ (১) এবং ৪৮ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

অপরদিকে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ নতুন করে গঠনের নিমিত্তে একজন পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পরিচালক হলেন, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব:)ডা. মো. রেজাউল হক। আর স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রুপালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদুল আলম খন্দকার ও চার্টার্ড একাউন্টেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন এফসিএ।

এর আগে গত সপ্তাহে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ব্যাংকটির পর্ষদ গঠিত হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সমন্বয়ে। আর ন্যাশনাল ব্যাংকে পুরনো পরিচালকদের মধ্য থেকে বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে পর্ষদ গঠিত হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদও পর্যায়ক্রমে ভেঙে দেওয়া হবে।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পর্যায়ক্রমে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য ব্যাংকগুলোর পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ে তড়িঘড়ি করা হবে না।

তিনি বলেন, ঋণ বের করা ঠেকাতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবার শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি যেন করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব শেয়ার সরকার নেবে না। বিক্রি করে নামে-বেনামের ঋণ সমন্বয় করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও একটি গোয়য়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক ও এসআইবিএল দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংক দু’টিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে গ্রুপটি। বিপুল অঙ্কের ঋণ বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এসব ব্যাংকে বড় একটি চক্র গড়ে তোলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ। তাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক।

বিএইচ