ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও হাবিবের পদত্যাগ দাবিতে স্মারকলিপি
আপডেট: ২০২৪-১০-১০ ১০:১৮:০০
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার্স প্লাটফর্ম খ্যাত ‘দুর্নীতিমুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন পরিষদ’। একই সঙ্গে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স কাউন্সিল উদ্যোগে আসন্ন ২০ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেন সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য ‘বিবি-নাইট’ অনুষ্ঠানের নামে বিলাসিত প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আর বিবি নাইটে গভর্নর ড আহসান এইচ মনসুরকে শারীরিকভাবে উপস্থিতি না থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্দোলনরত কেন্দ্রীয় ব্যাংকার্সরা। তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের সামনে বিক্ষোব সমাবেশ শেষে গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো—আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া এবং ব্যাংক লুটেরারদের সহচর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে দ্রুত সময়ে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদতাগের পর সব ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ করার দাবি ছিল। কিন্তু ব্যাংকের কাজ নির্বিঘ্নে করতে নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। বর্তমানে গভর্নর এবং দুইজন ডেপুটি গভর্নর যোগদানের ফলে তাদের আর থাকার সুযোগ থাকে না।
কেননা, তাদের মত সাবেক সরকারের নিয়োগ পাওয়া গভর্নর, দুইজন দুইজন গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং নীতি উপদেষ্টা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের বাদ দিয়ে এই দুইজনকে রাখাটা বৈষম্য। আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বর্তমান নাজুক অবস্থায় অফিসার্স কাউন্সিল আয়োজিত অনুষ্ঠিতব্য বিবি নাইটস অনুষ্ঠান বাতিলকরণ দাবি জানায়। তবে তাদের বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) পালনে বাধা দেবেন না বলে জানান। পাশাপাশি সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক মদদপুষ্ট এস আলম গ্রুপসহ ব্যাংকিং খাতে লুটেরা গোষ্ঠীর সাথে আঁতাতকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীন সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানান।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দীয় ব্যাংকের আইনগত, আর্থিক, পরিচালনগত ও ব্যবস্থাপনা স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করা। এছাড়া, গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে চর দখলের মত ব্যাংক দখল, অনিয়ম, লুটপাট, দূর্নীতি বন্ধ করতে জোর দাবি তুরেন তারা।
আন্দোলনকারী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমান কাউন্সিলের মেয়াদ গত মে মাসে মেষ হয়েছে। তারা ক্ষমতার জোরে নির্বাচন না দিয়ে স্পদে রয়েছে যা শতভাগ অনৈতিক। তারা আওয়ামী লীগের এজেনড বাস্তবাযনে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নতুন গভর্নরকে চাপে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর কাউন্সিলের পূর্বের জমানো অর্থ তছরুপের নীল নকশার অংশ হিসাবে বিবি নাইটের আড়ালে বিলাসিতায় বিভোর জয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি দুই ডেপুটি গভর্নরকে দিয়ে পোস্টিং এবং বদলিকরণে অবৈধ প্রভাব খাটাচ্ছেন। গভর্নরকে ভুল বুঝিয়ে আওয়ামী লীগের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করছেন।