বোর্ড মিটিংয়ের পর সিটিসেলকে তরঙ্গ দেবে বিটিআরসি

প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৬ ১৩:৫৯:০০


btrcবাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বোর্ড মিটিংয়ের পর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেওয়া হবে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আদালতকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের নির্দেশ মোতাবেক সিটিসিলের তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বিটিআরসির বোর্ড মিটিং বসবে। বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’

এর আগে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এখনো কেন সিটিসেলকে তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি তা দুপুরের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত বৃহস্পতিবার ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই দিন আদালত একইসঙ্গে সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর সিটিসেল বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি, এই অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের কার্যক্রম (স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটিসেল।

বিটিআরসি দাবি করে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রয়েছে।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং অবশিষ্ট টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সিটিসেল তাদের হিসাব মতে বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে, প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেন। এ পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্দ ফিরে পেতে সিটিসেল আপিল বিভাগে আবেদন করে।