জোড়া খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ

---

মাগুরায় ২৬ বছর আগে চাঞ্চল্যকর রওশন ও ছাত্তার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবু কালাম বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর আগে, গত ২ নভেম্বর মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আরাফাত হোসাইন একমাত্র অভিযুক্ত আসামি হিসাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

১৯৯০ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষ চরমপন্থিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় মাগুরা সদরের দোড়ামতনা গ্রামের রওশন মোল্যা ও শালিখার তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার। এই জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২৬ বছর পর গত ২ নভেম্বর ওই রায় ঘোষিত হয়। ঘটনার পর থেকেই এ মামলার অন্যতম আসামি আবু কালাম পলাতক ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ ফিরোজুর রহমান জানান, ১৯৯০ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামিরা পূর্বের একটি মামলা মিমাংসার কথা বলে রওশন মোল্যা ও তার সঙ্গী আব্দুস ছাত্তারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী মালঞ্চী গ্রামের মাঠের মধ্যে রওশনের মস্তক বিচ্ছিন্ন ও আব্দুস ছাত্তারের ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় রওশনের স্ত্রী ভানু বিবি বাদী হয়ে ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করে। ঘটনার ২৬ বছর পর গত ২ নভেম্বর এই মামলার পুলিশী রিপোর্ট ও সাক্ষ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে বিচারক আবু কালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও অন্যদের বেকসুর খালাসের রায় দেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আবুল কালাম পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষিত হয়।

এই রায় ঘোষণার ২১ দিন পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি আবুল কালাম বৃহস্পতিবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আরাফাত হোসাইনের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে মাগুরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস