কাঙালিভোজের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৪৩

---

কাঙালিভোজের খিচুড়ি খেয়ে শিশুসহ ১৪৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গুরুতর অসুস্থ ২৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা শিবির খুলে অসুস্থ লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে এসে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আবদুল জলিল (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি উপজেলার পারতিতপরল গ্রামে।

বগুড়ার সিভিল সার্জন শামসুল হক আজ রোববার সন্ধ্যায় বলেন, কাঙালিভোজের খাবার খেয়ে পারতিতপরল গ্রামের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৮ জনকে সারিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে এসে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতি পারতিতপরল গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির খুলে রোববার দিনভর অসুস্থ লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা শিবিরের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পারতিতপরল গ্রামের বাসিন্দা সাদু প্রামাণিকের মৃত্যুতে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিলাদের আয়োজন করা হয়। মিলাদ শেষে কাঙালিভোজে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। ওই খিচুড়ি খেয়ে শুক্রবার রাত থেকে পর্যায়ক্রমে শতাধিক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। রোববার পারতিতপরল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিকিৎসা শিবির খুলে সেখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সারিয়াকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আতিকুজ্জামান জানান, উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম রোববার দিনভর কাজ করেছে।