‘বুল বেয়ার ব্লু চিপসে কি সিদ্ধান্ত নেবেন’ আগে জানুন
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-০৯-২৯ ১৯:৪৭:০৫
পুঁজিবাজারে ব্যবসা করতে হলে কিছু ব্যবসায়িক টার্ম শিখতে হয়। একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে এ ধরণের ভাষা শিখার কোনো বিকল্প নেই। কারণ এখানে এমন কিছু টার্ম ব্যবহার করা হয় যেটা ভিন্ন একটি অর্থ বহন করে। তাই পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়ত যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার কিছু শব্দের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো-
বিয়ার মার্কেট:
এখানে বিয়ার বলতে বুঝানো হচ্ছে এমন একজন কল্পনাকারীকে, যিনি মনে করছেন শেয়ার দর অদুর ভবিষ্যতে পড়ে যাবে বা কমে যাবে। তাই এখন শেয়ার বিক্রি করে পরে সস্তায় শেয়ার কেনা ভালো। অর্থ্যাৎ শেয়ার দর হারানোর ভয়ে যিনি শেয়ার বিক্রি করেন, তিনি হলেন বিয়ার। আর যে সময়ের মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করছেন তা হলো বিয়ার মার্কেট।
বুল মার্কেট:
বুল হলেন বিয়ারের বিপরীত। এখানে বুল এমন একজন কল্পনাকারী, যিনি মনে করেন ভবিষ্যতে শেয়ার দর বাড়বে। তাই এখন কিনে রাখা ভালো। এই ভেবে শেয়ার ক্রয়কারী হলেন বুল। আর যে সময়ের মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করছেন তা হলো বুল মার্কেট।
তবে এখানে বলে রাখা ভালো শেয়ারবাজারে একসঙ্গে সবাই বুল কিংবা বিয়ার হন না। এখানে সিকিউরিটিজ অনুযায়ী হয়ে থাকেন বেশিরভাগ সময়ে। তবে খাত ভিত্তিকও হয়ে থাকেন মাঝে মাঝে। কখন কি ঘটে এসব বিষয়ে বিনিয়োগকারীকে সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।
ব্লু চিপস কোম্পানি:
পুঁজিবাজারে ব্লু চিপস শব্দটা অনেক বেশি পরিচিত। এই ব্লু চিপস কোম্পানি বলতে বুঝায় ওই ধরণের কোম্পানিকে, যেগুলো মানের দিক দিয়ে তার মূল্য বাড়তে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত ব্লু চিপস কোম্পানি হিসেবে স্কয়ার ফার্মাসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে এই তালিকায় ফেলা যেতে পারে।
বোনাস ইস্যু:
এটা হলো বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের বিনা অর্থে কোম্পানি কর্তৃক অতিরিক্ত শেয়ার প্রদানকে বুঝানো হয়। বোনাস শেয়ার সাধারণত আনুপাতিক হারে প্রদান করা হয়। যেমন যার ৫টি শেয়ার রয়েছে, সে যদি আরও ৫টি শেয়ার পায়; তাহলে বোনাস শেয়ারের আনুপাতিক হার হবে ১:১।
রাইট ইস্যু:
রাইট ইস্যু হলো অর্থের বিনিময়ে কোম্পানি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেয়ার প্রদান করাকে বুঝায়। বর্তমান শেয়ারহোল্ডাররা যদি এই রাইট পুরোটা না নেন তবে অবলেখনকারীরা সেই অংশটুকু নেবে কিংবা কোম্পানি অন্যভাবে তা বিক্রি করার ব্যবস্থা করবে।
এখানে কোম্পানি এই রাইট বিক্রি করতে ইস্যু মূল্য চাইতে পারে কিংবা এর সাথে প্রিমিয়ামও চাইতে পারে।
মূলধন:
এটা আমরা নানাভাবে বুঝার চেষ্টা করে থাকি। তবে মূল কথা হলো- কোম্পানির সমুদয় আর্থিক সম্পদকে মূলধন বলা হয়। এটা আসে পরিশোধিত বা ইক্যুইটি ক্যাপিটাল কিংবা রিজার্ভ এবং ঋণ থেকে।
ব্রোকার:
ব্রোকার হলেন যিনি কমিশনের ভিত্তিতে শেয়ার কেনাবেচায় মধ্যস্থতা করেন। একজন বিনিয়োগকারী যখন তার পোর্টফোলিওতে শেয়ার কেনাবেচা করতে চান; তখন তিনি এই ব্রোকারের দ্বারস্থ হন। তবে যে হাউজে বিও অ্যাকাউন্ট করেন সেই হাউজের ব্রোকারের মাধ্যমে তার শেয়ারের লেনদেন করতে হয়। এই হাউজকে বলা হয় ব্রোকারেজ হাউজ।
পোর্টফোলিও:
পোর্টফোলিও হলো- সম্পদ ধারণের মিশ্রণ, যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধারণ করতে পারে। আর্থিক সম্পদ নিয়ে পোর্টফোলিও গঠন করা মানে বিভিন্ন শেয়ার, বন্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ড্রাইভেটিভস ইত্যাদির মিশ্রণকে বুঝানো হয়। যাতে রিক্স কমানো যায়। একজন পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারী প্রতিনিয়ত তার ফোলিও নতুন করে সাজান। কারণ এতে লাভ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।