কৃষি ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংক পেল ১৫১ কোটি টাকা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০২ ১০:১৪:৫৪
মূলধন ঘাটতি পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সরকারের কাছে ১৯ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু প্রকট মূলধন ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে সদ্য গত বাজেট থেকে এক টাকাও দেয়নি সরকার।
রোববার শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট থেকে দুটি ব্যাংকের জন্য মাত্র ১৫১ কোটি ১২ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। তবে এ অর্থ মূলধন ঘাটতি পূরণে দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে ভর্তুকি হিসেবে এবং একটি ব্যাংকের সরকারি অংশের শেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য। এক যুগ পর এবারই প্রথম মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারি ব্যাংকগুলো কোনো অর্থ পেল না। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থ বিভাগ জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে মূলধন পুনর্গঠনখাতে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অর্থ থেকে গতকাল দুটি ব্যাংকের বিপরীতে ছাড় করা হয় ১৫১ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে সুদ ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সরকারি শেয়ার ধরে রাখার জন্য দেয়া হয় এক কোটি ১২ লাখ টাকা। অন্য কোনো ব্যাংককে আর অর্থ দেয়া হয়নি। এবারই প্রথম কোনো ব্যাংককেই মূলধন ঘাটতি পূরণে অর্থ দেয়া হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির মূল কারণ দুর্নীতি ও অব্যবস্থপনা। এ ঘাটতি মেটানোর জন্য জনগণের করের টাকায় প্রতিবছর ব্যাংকগুলোকে শত শত কোটি টাকা দেয়া হয়। অর্থ দেয়ার পরও এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে জনতা ও বেসিক ব্যাংকের অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ ব্যাংকগুলোকে আদৌ অর্থ দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই এবার তাদের কোনো অর্থ দেয়া হয়নি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি ৪ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মূলধন ঘাটতি পূরণে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা চেয়ে একটি চাহিদাপত্র দেয়া হয়। তাতে দেখা যায়, মূলধন ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে বেশি অর্থ চেয়েছিল বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ঘাটতি পূরণের তার প্রয়োজন ৭ হাজার ৯৩৫ কোটি ৫৬ লাখ। পরের অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের শীর্ষে থাকা এ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজন ৬ হাজার কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের দরকার ৪ হাজার কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মূলধন ঘাটতি পূরণে চেয়েছে ৭৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশ পূরণেও প্রয়োজন ছিল এক কোটি ১২ লাখ টাকা।