অবসায়নে যাচ্ছে পিপলস লিজিং

পুঁজিবাজার ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৭-০৯ ১৪:৩৩:৫৯


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএল) আর্থিক অবস্থা গ্রাহকদের পাওনা মেটাতে অক্ষম হওয়ায় কোম্পানিটির অবসায়ন বা বিলুপ্তি (লিক্যুইডেশন) চেয়ে অর্থমন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রনালয় পিপলস লিজিংয়ের লিক্যুইডেশন অনুমোদন করে গত ২৭ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূ‌ত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম লিক্যুইডেশনে যাচ্ছে। কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা এতোটাই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে যে এটি ভবিষ্যতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে অক্ষম বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৮৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির নন-পারফর্মিং লোনের পরিমাণ ১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এছাড়া কোম্পানিটি তার ডিপোজিটরদের পাওনা প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়েছে। যে কারণে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর হাইকোর্টে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের জন্য আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পিপলস লিজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৭৬ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মোট ২৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭টি শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের হাতে ২৩.২১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৮.৭৬ শতাংশ, বিদেশি ০.১৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬৭.৮৪ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানির লিক্যুইডেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যে ভ্যালু আসবে তার থেকে আগে পাওনাদারদের পাওনা মিটিয়ে অত:পর অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডার এবং সবার শেষে কিছু থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভাগ করে দেওয়া হবে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর এ কোম্পানির বর্তমান শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা।

সান বিডি/এসকেএস