বীমা করার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০২ ১৭:৪৭:৫৪


প্রথমবারের মতো ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বীমা খাতের শুরু হয়েছিল।

দেশের পৌনে দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের বীমার আওতায় থাকলেও বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না অনেকে।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলেন, বীমা একজন বিনিয়োগকারীর ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। একই সঙ্গে তার ঝুঁকিও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়।

বীমা আসলে কী?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক হাসিনা শেখ বলেছেন, বীমা হলো নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থানান্তর করা।

তবে বীমা করার আগে সংশ্লিষ্ট বীমার শর্তাদি সম্পর্কে জানতে হবে, যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

হেলথ ইনস্যুরেন্স বা স্বাস্থ্য বীমার কথা আমরা অনেকেই জানি। নিজের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিপরীতে আপনি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা করছেন। এই টাকা জমা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে– যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তা হলে ওই বীমা প্রতিষ্ঠান আপনার স্বাস্থ্য ব্যয়ের একটি অংশ বা একটি বড় অংশ প্রদান করবে। একে বলা হয় প্রিমিয়াম।

অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত স্বাস্থ্য বীমা তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলোতে ‘ক্যাশলেস’ সেবা অথবা সেবাগ্রহণ পরবর্তীকালে গ্রাহককে বীমার অর্থ প্রদান করার কথা।

বাংলাদেশে কী ধরনের বীমা চালু আছে?

বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের বীমা হয়- জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা।

জীবন বীমায় একজন ব্যক্তি নিজের বা পরিবারের কোনো সদস্যের জীবন বীমা করাতে পারেন।

এতে বীমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার অথবা নমিনি করা ব্যক্তিকে বীমাকৃত অর্থের পুরোটাই প্রদান করা হবে।

অন্যদিকে সাধারণ বীমার মধ্যে স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি, যানবাহনসহ যত ধরনের বীমা হয় তার সব কিছুই পড়ে।

বাংলাদেশে ৭৮টি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি জীবন বীমা, ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি।

এর মধ্যে একটি জীবন বীমা এবং একটি সাধারণ বীমার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আছে। দুটি বিদেশি বীমা কোম্পানিও আছে এর মধ্যে।

যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

বীমা নিয়ে অনেক রকম বিভ্রান্তি আছে

১. বীমা করার আগে সংশ্লিষ্ট বীমার শর্তাদি দেখে, জেনে ও বুঝে নিন।

২. প্রিমিয়াম জমা দেয়ার নিয়মাবলি এবং সময়সীমা পার হয়ে গেলে কী করণীয় ভালো করে জেনে নিতে হবে।

৩. মেয়াদ পূর্তির পর ঠিক কত টাকা এবং কতদিনের মধ্যে সে প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিতভাবে জেনে নিতে হবে।

৪. মেয়াদ পূর্তির পর যথাসময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়া না গেলে গ্রাহকের কী আইনি সুরক্ষা থাকছে সেটি জেনে নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

সানবিডি/এনজে