সেরা নিতম্ব যাচাই করতে প্রতিযোগিতা!
প্রকাশ: ২০১৫-১২-০১ ১৫:০৯:১৭
গোটা পৃথিবীতে রোজ কত কী যে ঘটে যাচ্ছে, তার কটা খবর আমরা রাখি ? কখনওসখনও সে ঘটনা হয় বেশ ভারিক্কি চালের, কখনও আবার হালকা। কখনও সে ঘটনার মানে হয় বেশ গুরুগম্ভীর, কখনও আবার তারা মাথামুণ্ডুই থাকে না। কখনওসখনও সে ঘটনা হয় বেশ অদ্ভুত, আশ্চর্যের। তেমনই একটি উদাহরণ ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির বেস্ট বাম কম্পিটিশন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেরা নিতম্বের অধিকারী ও অধিকারিণীকে বেছে নেওয়া হয় অদ্ভুত এই প্রতিযোগতিার মাধ্যমে। এই নিয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়ল প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বহুচর্চিত প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকা ট্যাব (TAB)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মুহূর্তের আপডেটের সঙ্গে খবর প্রকাশ করে এই পত্রিকা। তারাই এহেন অদ্ভুত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে গত চার বছর যাবৎ। কিন্তু, কেন এমন চিন্তাভাবনা তাদের মাথায় এল, তা কিন্তু অজানা।
ইতিমধ্যেই বেস্ট বাম প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন ১০ ছাত্র-ছাত্রী। ফাইনাল প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই ১০ জনের ছবি ট্যাব পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাম্পাস চত্বরের বিভিন্ন অংশে, বিল্ডিং থেকে খেলার মাঠে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ফোটো সেশন করেছেন পড়ুয়ারা। কেউ কেউ আবার নুড পোজ় দিয়েছেন লাইব্রেরিতেই। ১০ ফাইনালিস্টের মধ্যে ৫ জন ছাত্র ও ৫ ছাত্রী রয়েছেন। এক ছাত্র তো আবার লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির “ভিত্রুভিয়ান ম্যান”এর ছবির মতো পোজ় দিয়েছেন। এক প্রতিযোগিনীর আশা, তাঁরটাই “সবচেয়ে বেশি” পছন্দ করবেন ভোটাররা।
তবে এই প্রতিযোগিতার পথ যে পুরোপুরি গোলাপ বিছানো তা কিন্তু নয়। প্রতিযোগিতা শুরুর দিন থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি। ক্যামব্রিজের অভ্যন্তরেও সমালোচনা জোরদার। এর মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে গলা তুলেছেন সমালোচকরা। অনেকে আবার একে অতিরিক্ত যৌনতার প্রদর্শনও বলে মনে করছেন। তবে, সে সবে কান না দিচ্ছেন না প্রতিযোগী থেকে উদ্যোক্তারা।