ডিজিটাল নথি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৮-২২ ২০:৩৯:৪৯


দেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করে গড়তে ই-নথি থেকে ডিজিটাল নথি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

‍আজ শনিবার (২২ আগস্ট) এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবদের (পিএস) নিয়ে ই-নথি বিষয়ক কর্মশালার ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এই অনুষ্ঠানে পলক বলেন, ‘জনগণের হাতের মুঠোয় ডিজিটাল সেবা এনে দিতে এবার ১৮ হাজার উপজেলা অফিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪০ হাজার অফিসকেও উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে এনে সেখানেও ই-নথি ব্যবহারে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। একই সঙ্গে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ই-নথি থেকে ডিজিটাল নথি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

এসময় পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে একটি জনবাদ্ধব জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে ই-নথির ব্যবহার ইউনিয়ন সেবা সেন্টার পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে।’

ইতিমধ্যেই সরকারের আট হাজার ২৩৪টি দফতর ই-নথি ব্যবহার করছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘খুব দ্রুততম সময়ে উপজেলা পর্যায়ের ১৮ হাজার অফিসে এবং ইউনিয়নের ভূমি অফিস ও ডিজিটাল সেবা সেন্টারসহ সব জায়গায় ই-নথি চালু হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তরঙ্গের সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে এবং করোনার অপ্রত্যাশিত অবস্থা মোকাবিলায় গত পাঁচ মাসে আমাদের মধ্যে ই-নথি ব্যবহারে যে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা থেকে আরও একটি নতুন সংস্করণে যেতে যাই। যেখানে অডিও-ভিজ্যুয়াল কল, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, ওসিআর, টেক্সট টু স্পিচ, স্পিচ টু টেক্সট, এআই প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটিয়ে ডি-নথি (ডিজিটাল নথি) চালু করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দাফতরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের ২৮ একান্ত সচিব এ কর্মশালায় অংশ নেন।

সানবিডি/এনজে