জিল বাংলার লেনদেন স্থগিত
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-১৫ ০৭:১৬:৫৪
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তজিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের লেনদেন স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, এ শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি হয়েছে। বিষয়টি কমিশন খতিয়ে দেখবে। এ নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেয়ারটির লেনদেন স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে অন্য ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে কারসাজির বিষয়েও কঠোর হবে কমিশন।
সূত্র মতে, বিএসইসি ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দিয়েছে। ১৯৬৯ এর সেকশন ৯ এর ৭ ধারা অনুযায়ী লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যদিকে স্টক এক্সচেঞ্জ ১৯৬৯ এর সেকশন ৯ এর ৮ ধারা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ৩০ দিনের জন্য লেনদেন স্থগিত করতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে লেনদেন স্থগিত করেছে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কিছু অসাধু বিনিয়োগকারীরা। তারা সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বাড়িয়েছে। কারসাজি করা চক্রটি যাতে উচ্চ মূল্যে শেয়ার বিক্রি করতে না পারে সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
গত ৯ জুলাই জিল বাংলার শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। যে শেয়ারটি ১৪ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে বেড়ে দাড়িঁয়েছে ২১৩ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ গত ২ মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৮১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫৭৪ শতাংশ।
গত ১৩ আগস্ট বিএসইসির ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারে টি+৩ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সরকারি মালিকানাধীন জিল বাংলা সুগারের দর বৃদ্ধি তরান্তিত হয়। অথচ ৬ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও ৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লোকসান করেছে। ধারাবাহিক এমন লোকসানে কোম্পানিটির রিটেইন আর্নিংস এখন ঋণাত্মক ৩৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ১৯৮৮ সালে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির সর্বশেষ কবে লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই তথ্যও ভুলে গেছে সবাই। এমনকি কোন স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির প্রোফাইলেও এ তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সরকার অর্থায়নের কারনে টিকে রয়েছে এ কোম্পানিটি।
উল্লেখ,১৯৮৮ সালের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির ৫১ শতাংশের শেয়ারের মালিক সরকার। এটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা। মোট শেয়ার ৬০ লাখ। প্রাতিষ্ঠারিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৫ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ।
১৯৮৮ সালের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির ৫১ শতাংশের শেয়ারের মালিক সরকার। এটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ