‘মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াচর্চার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে’

---

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৭মে) টোবাকো কন্ট্রোল প্রজেক্ট (ডরপ) ও ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) কর্তৃক আয়োজিত ‘তামাকে কর বৃদ্ধি ও তামাক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। বর্তমান সরকারের ভিশন -২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও জনসংখ্যার সর্বাপেক্ষা সৃজনশীল ও উদ্যমী অংশ হিসেবে এ যুবদের অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।’

‘দুঃখের বিষয় এই যুবদের একটা বড় অংশ আজ তামাক বা মাদকে আসক্ত। তামাক জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কিছু তো নয়ই, বরং এর বহুল ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি- উভয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর। আর তাই জাতীয় বাজেটে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির মাধ্যমে যুবসমাজকে তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।’

যুবসমাজকে তামাক ও মাদক থেকে দূরে রাখতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুব সমাজ যাতে বিপথগামী না হয়, তাই সুস্থ সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চার সুযোগ করে দিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যুবসমাজকে আত্নকর্মী করে গড়ে তুলতে প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে মিনি থিয়েটারসহ সুস্থ সংস্কৃতির ব্যবস্হা থাকবে।’

অনুষ্ঠানে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কুড়িগ্রাম ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।