চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এফবিসিসিআই

---

চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ  ‘বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) আজ ডালিয়ানের এক হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে সিসিপিআইটি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও চীনের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সেমিনারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরেন এবং সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে চীনা ব্যবসায়িদেরকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শেখ ফাহিম জানান যে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ০.৬৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ১১.৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উল্লেখ্য যে, এফবিসিসিআইয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল গতকাল (১-৭-২০১৯) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন গেছে। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ আগামি ৪ জুলাই বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ ব্যবসায়িদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় একটি বিজনেস রাউন্ডটেবিলে যোগ দেবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

বেইজিং-এ আগামি ৫ জুলাই তারিখে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ এবং সিল্ক রোড চেম্বার অব ইন্টারন্যাশনাল কমার্স (এসআরসিআইসি)-এর মধ্যে এক বিজনেস মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনিয়োগ ও বাণিজ্য অংশীদার চীনের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ তাদের বর্তমান সফরে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ৪’শরও বেশি চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। মুলত বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল, চামড়া, প্রকৌশল এবং অবকাঠামো নির্মাণ খাতে চীনের বিনিয়োগকারীরা কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে চীনের আরও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ তাদের এ সফরকালে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেন।

এফবিসিসিআই ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হচ্ছেন ঃ এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মো: মুনতাকিম আশরাফ, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি জনাব রেজাউল করিম রেজনু, মি. দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, জনাব সিদ্দিকুর রহমান ও মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিসিআই পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, কাজী আমিনুল হক, মি. প্রবীর কুমার সাহা, মি. সুজিব রঞ্জন দাস, জনাব মো: আবু নাসের, জনাব মো: নিজাম উদ্দিন, জনাব তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, কাজী বেলায়েত হোসেন, জনাব মোঃ আতাউর রহমান ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, জনাব বেনজীর আহমেদ, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, জনাব মেহেদী আলী, জনাব মোঃ মুনির হোসেন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জনাব মো: হাসানুজ্জামান, জনাব মোহাম্মদ মনজুর রহমান পিটার এবং জনাব সামিউল হক শাফা।

এছাড়াও এফবিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলে রয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি জনাব মো: শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি, মিসেস রুবানা হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি জনাব ওসামা তাসের, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের সভাপতি, জনাব নুরুল কাইয়ুম খান এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি, খন্দকার মশিউজ্জামান ।

চীন সফর শেষে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল আগামী ৬ জলাই ২০১৯ তারিখে ঢাকায় ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সহ-সভাপতি জনাব নিজামুদ্দিন রাজেশ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।