কাউছ মিয়াকে সেরা করদাতা সম্মাননা ও সিআইপি ঘোষণা

---

মুজিববর্ষে সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা জানানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া।

শুক্রবার (৫ মার্চ) সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে কাউছ মিয়াকে সম্মাননা জানায় এনবিআর। কাউছ মিয়া বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। চিকিৎসক কথা কম বলতে বলেছেন। আমাকে এই সম্মান জানানোর জন্য কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবনের অনেকটা পথ পারি দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছি। সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেছি। বাকিটা জীবনও যেন এভাবে পথ চলতে পারি। ধন্যবাদ সবাইকে।’

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়ে আসছেন তিনি। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কাউছ মিয়া গত ৬১ বছর ধরে কর দিয়ে আসছেন।

১৯৫৮ সাল থেকে কর দেন তিনি। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এক নম্বর করদাতা হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। হাকিমপুরী জর্দা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. কাউছ মিয়া তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র আড়াই হাজার টাকা নিয়ে, পঞ্চাশের দশকে।

বর্তমানে তিনি আগা নবাব দেউড়ীতে বসবাস করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কর প্রদানে সততা, আন্তরিকতা ও প্রণােদনার স্বীকৃতিস্বরূপ হাজী মাে. কাউছ মিয়াকে সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, এখন তার বিভিন্ন ব্যবসা আর জায়গাজমি মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ১৯৫০ সালে চাঁদপুরে স্টেশনারি ব্যবসার শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়লে তিনি নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। শুরু করেন তামাকের ব্যবসা। বর্তমানে কাউছ মিয়ার ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসা রয়েছে।