আজ পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

---

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ মার্চ)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ৭৩ বছর বয়সে রাজধানী ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ওই দিনই তাকে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়ির আঙিনায় প্রিয় ডালিম গাছের নিচে তাকে সমাহিত করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পল্লীকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ (১৪ মার্চ) সকালে শহরের গোবিন্দপুর এলাকার কবির পৈত্রিক বাড়ির আঙিনায় ডালিম গাছের নিচে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনচিত্র, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনি, গল্প-উপন্যাস ছাড়াও জারি ও মুর্শিদিগানের বিশাল সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।

১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীম উদ্‌দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তার কবর কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান।

এছাড়া আসমানী, মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, সুচয়নী প্রভৃতি লেখায় গ্রাম বাংলার মানুষের হাসি-কান্না ও আশা-আকাঙ্খার কথা উঠে এসেছে বলে তিনি বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পল্লীকবি হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন ১৯৭৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৭৮ সালে পান মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার।