ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর নির্দেশ দিলেন শিল্পমন্ত্রী

---

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন শুধু মুখে মুখে বা কাগজে কলমে নয়, বাস্তবেই বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করুন । তিনি বলেন, ‘দেশের ৭৬টি বিসিক শিল্পনগরীতে উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ও অল্প খরচে দ্রুত শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যকর সেবা পান— সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প খাতে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এক ছাদের নিচে শিল্প স্থাপনের সব ধরনেরর সেবা দিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিসিকের ৭৬টি বিসিক শিল্পনগরীতে ওয়ানস্টপ সেবা চালুর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নধর্মী দুই দিনব্যাপী ‘নাগরিক সেবা উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। ভার্চুয়ালি  এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

বিসিক পরিচালক ড. মোহা. আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মোসতাক হাসান।  দেশের সব শিল্পনগরীর কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা এবং বিসিক পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এসময় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রাহক পর্যায়ে প্রত্যাশিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস আইন ২০১৮’ এর ‘ক’ তফসিলে বিসিককে অন্তর্ভুক্ত করেছে।’’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৩১ দফা নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলো চালু রাখা হয়েছে। এসব শিল্প ইউনিটে ভোগ্য পণ্য উৎপাদন, মাঠে লবণ চাষ, লবণ মিলগুলোতে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন এবং সাভার চামড়া শিল্পনগরীর ট্যানারিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত অব্যাহত রয়েছে। করোনা প্রতিরোধকমূলক পণ্য যেমন-পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, মেডিক্যাল অক্সিজেন, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, জীবাণুনাশক ফ্লোরক্লিনারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্য পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখতে বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিল্পমালিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।’

তিনি বিসিক শিল্পনগরিগুলোতে উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে কার্যকর ওয়ানস্টপ সেবা প্রদানের উপযোগী উদ্ভাবনী কৌশল খুঁজে বের করার তাগিদ দেন। তিনি বিসিক গৃহীত মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ২০৩০ সাল নাগাদ ২০ হাজার একর জমিতে ৫০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন, ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণনে সহায়তা দিতে অনলাইন মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৫টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা জোরদারের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিসিক প্রধান কার্যালয়, ৪টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৭৬টি শিল্পনগরী, ৬৪ শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, একটি লবণ কেন্দ্র, ৬টি মৌচাষ কেন্দ্র, একটি চামড়া শিল্পনগরী ও ১৫ টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৬ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সানবিডি/এনজে